কেনিয়ার কফি রফতানি আয় কমেছে ২০.২ শতাংশ
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৬-১৭ ০৯:৫৬:৫৯
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কফি থেকে কেনিয়ার রফতানি আয় কমেছে ২০ দশমিক ২ শতাংশ। রফতানির পরিমাণ কমে যাওয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে কফির দাম পড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশটির আয় সূচকে। এমনটাই উঠে এসেছে কেনিয়া ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (কেএনবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে। খবর শিনহুয়া।
এ বিষয়ে কেএনবিএসের প্রতিবেদন অনুসারে, কেনিয়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১১ হাজার ২৮৪ টন কফি রফতানি করে ৭৬৩ কোটি শিলিং বা প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের তুলনায় কম। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে ১১ হাজার ২৯৩ টন কফি থেকে ৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। কেনিয়ার মার্চে কফি রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৪৮৬ টন ও জানুয়ারিতে ১ হাজার ৯২১ টন। মার্চের রফতানি আয় ছিল সর্বোচ্চ ও জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন। কেনিয়া প্রধানত অ্যারাবিকা কফি উৎপাদন করে। মাঝারি টক স্বাদের যে কফির জাত রয়েছে, বিশ্বব্যাপী তার ব্যবসা সবচেয়ে বেশি। কফির বাজারের ৭০ শতাংশ এ জাতের দখলে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন (আইসিও)। অন্যদিকে রোবাস্তা কফিতে বিশেষ ধরনের কড়া গন্ধ রয়েছে, একই সঙ্গে তা উচ্চ ক্যাফেইন সমৃদ্ধ। তবে এটি অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়বহুল।
বিশ্ববাজারে অ্যারাবিকা কফির দাম ক্রমাগত কমছে। চাহিদা স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও গড়ে প্রতি কেজি কফির বিক্রয়মূল্য ৫ ডলার। ২০২২ সালের একই সময়ে দর ছিল প্রতি কেজি ৬ দশমিক ৭ ডলার। একদিকে বিশ্ববাজারে দর কমছে, অন্যদিকে কৃষকরা চলে যাচ্ছে অন্যান্য ফসল চাষের দিকে। ফলে কেনিয়ার কফি উৎপাদন বছরের পর বছর ধরে কমেছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেড়েছে খরা ও রোগবালাইয়ের প্রকোপ। ১৯৯০-এর দশকে কফি চাষের এলাকা ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে এক লাখে। ১৯৮০-এর দশকে উৎপাদন ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টন, যেখান থেকে ৩৫ হাজার টন কমেছে। কেনিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পণ্য হিসেবে কফি তার শীর্ষস্থান হারিয়েছে। অবশ্য সরকার ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার তহবিল ঘোষণার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণের সুবিধাসহ খাতটিকে উন্নীত করার কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এনজে