বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করলেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফর শেষে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটে যখন শেখ হাসিনা নিজেই যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করলেন, তখন তারা বিস্মিত ও আনন্দিত হয়ে ওঠেন। শেখ হাসিনা একের পর এক আসনে গিয়ে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইটে যাত্রীরা তাদের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে বিস্মিত ও অবাক হয়েছেন এবং তারা কথা বলেছেন।’
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে যাত্রীরা ছবি তুলতে চাইলে তিনি যাত্রীদের অনুরোধ মেনে নেন। তিনি শিশু যাত্রীদের সঙ্গে স্নেহ দিয়ে কথা বলেন। কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে মজার গল্প করেন এবং কয়েকটি শিশুকে কোলে তুলে নেন।
প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের অপ্রত্যাশিত উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকজন যাত্রী তাদের মতামত তুলে ধরেন। কয়েকজন যাত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যা, সুবিধা ও অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে এসব শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ থেকে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে ১৩ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে শুক্রবার (১৬ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে তিনি (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এএ