জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, মাতৃত্বের অপমানকে কেউ মেনে নেবে না। বিবেকসম্পন্ন মানুষ এর প্রতিবাদ করবেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জনগণ রাস্তায় নেমেছে আর তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশ সেদিন যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। এর যথাযথ বিচার হলেই কেবল মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসতে পারে। তিনি বলেন, আমি যদি সেদিন কালিহাতীতে উপস্থিত থাকতাম তাহলে আমিও প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতাম। আজ সোমবার বেলা বারোটার দিকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতনের শিকার মা ও ছেলেকে দেখে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মিজানুর রহমান আরো বলেন, আমরা কোন অসভ্য ও বর্বর সমাজে বাস করছি। এখানে মানুষের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। মাকে অপমান করা হয়েছে। এমন ঘটনায় রাষ্ট্র প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে ভিন্ন খাতে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, হাতে অস্ত্র থাকলেই যদি গুলি করতে হয়, তাহলে পুলিশ আর সন্ত্রাসীদের মধ্যে পার্থক্য থাকে না। তারা নিরীহ মানুষের ওপর গুলি বর্ষণ করেছে।
দোষী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করাটাই যথেষ্ট নয়। হত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজাদারী আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ড. মিজানুর রহমান টাঙ্গাইলের কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন।
সেখান থেকে তিনি কালিহাতীর বেতডোবায় নিহত রুবেলের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন। উল্লেখ্য, কালিহাতীর সাতুটিয়ায় মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার এলাকাবাসীর মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে চার জন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হন।