সোমবার মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমেছে ফিউচার কমেছে।তবে শুষ্ক আবহাওয়া পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে দাম আবারো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগের কর্মদিবসে পণ্যটির দাম ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম ছয় সপ্তাহের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বরে সরবরাহের জন্য পাম অয়েলের বাজার আদর্শ দাম ৯ রিঙ্গিত বা দশমিক ২৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৪ রিঙ্গিত বা ৮০৮ ডলার ৭৫ সেন্ট।
মালয়েশিয়ায় চার মাসের মধ্যে মে মাসে প্রথমবারের মতো বেড়েছে পাম অয়েলের মজুদ। পণ্যটির উৎপাদন রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার প্রভাবে মজুদ বাড়ল। দেশটির ন্যাশনাল পাম অয়েল বোর্ড সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। দেশটিতে গত মাসে পণ্যটির মজুদ ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার টনে।
মে মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার টনে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ উৎপাদন। বেশি সময় ধরে পাম সংগ্রহ ও শ্রমিক সংকট প্রশমিত হয়ে আসায় উৎপাদন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।
করোনা মহামারী শুরুর পর মালয়েশিয়ায় তীব্র শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছিল। ফলে পাম বাগানগুলো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এ বছর সে সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে মালয়েশিয়া। শ্রমিক ফিরতে শুরু করায় পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে পাম ফল সংগ্রহের কাজ। বিষয়টি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সম্ভাব্য উৎপাদন বাড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পাম অয়েল রফতানি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মালয়েশিয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। ফলে গত মাসে দেশটির রফতানি দশমিক ৭৮ শতাংশ কমেছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার টনে।
এনজে