বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ সংকোচনের আশঙ্কা সত্ত্বেও কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম। বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্ব অর্থনীতিতে শ্লথগতির আশঙ্কা প্রকট আকার ধারণ করায় পণ্যটির বাজারদর নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্স।
আইসিই ফিউচারসে বুধবার ব্রেন্টের দাম ১৬ সেন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৬ ডলার ৯ সেন্ট। কার্যদিবসের শুরুতে বাজার আদর্শটির দাম ১ ডলারের বেশি কমে গিয়েছিল।
অন্যদিকে ব্রেন্টের দাম কমলেও নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ ডলার ৪৩ সেন্ট বা ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭১ ডলার ২২ সেন্টে।
আবারো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। পণ্যটির আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য ফেরাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশ দুটি।
লম্বা সময় ধরে বিশ্ব অর্থনীতিতে শ্লথগতির কারণে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রবৃদ্ধির হার কমছে। শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলো ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একের পর এক সুদহার বাড়চ্ছে। ফলে নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেলের বাজার। দাম কমতে থাকায় বিপাকে পড়েছে জ্বালানি তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশগুলো। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেল সরবরাহ কমানোর মাধ্যমে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব, রাশিয়াসহ শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলো। কিন্তু সরবরাহ কমার বিষয়টিকে ছাপিয়ে গেছে অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ।
এ বিষয়ে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, বিশ্বজুড়ে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম মন্থর হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক দেশেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা কম। বিশেষ করে ইউরোপ ও চীনে চাহিদার হার অনেক কম।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বর্তমানে সুদহার বৃদ্ধির ওপর নজর রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ফের সুদহার বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। এমনটি ঘটলে জ্বালানি তেলের দাম আরো কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনজে