বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম পুনরায় নিবন্ধনের আজ শেষ দিন। সরকারের ঘোষণা অনুসারে আজ রাত ১২টার পরে অনবিন্ধিত সকল সিম বন্ধ হয়ে যাবে। তবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় জানিয়েছে কাল থেকে বন্ধ হওয়া সিম আরও দেড় বছর পর্যন্ত পুনঃ নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
তবে এই সময়ের মধ্যে সিম পুনঃ নিবন্ধন করা না হলে গ্রাহক সেটির মালিকানা হারাবেন।
উল্লেখ, গত পরশু ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না এবং ৩১ মের পর অনিবন্ধিত সকল সিম বন্ধ করে দেয়া হবে। পরের দুইমাসের মধ্যে আর সেটি চালু করার কোন সুযোগ তারা পাবেন না।
তবে সোমবার রাতে বিটিআরসি থেকে পাঠানো নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে গ্রাহক পরের ১৫ মাসের মধ্যে বিনামূল্যে যেকোনো সময় সিমটি পুনরায় সচল করতে পারবেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১ জুন থেকে অনিবন্ধিত সিমগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও, গ্রাহকরা পরবর্তী ৪৫০ দিনের মধ্যে যেকোনো সময় সেগুলো পুনরায় নিবন্ধন করে চালু করতে পারবেন।
যেসব গ্রাহকরা পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সিম নিবন্ধন করেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এ বিষয়ে, বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক জাকির হোসাইন খানের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ৪৫০ দিন পর অপারেটর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংযোগটি পুনরায় বিক্রি করার ঘোষণা দেবে। এই ঘোষণার তিনমাসের মধ্যে গ্রাহক বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করে সিমটি চালু করে নিতে পারবেন। তবে এ সময় চালু করতে হলে নতুন সিমের মতোই ফি দিতে হবে।
তবে ৫৪০দিন বা ১৮ মাস পর অনিবন্ধিত সিমটি নতুন সংযোগ হিসাবে অপারেটর অন্য গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে দিতে পারবে।