পরিবারতন্ত্রের দাবানল, দূর্নীতি,ক্ষুধা, দারিদ্র ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ২০০৬ সালের ২৬ শে অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি থেকে বেরিয়ে ড. কর্ণেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম এর নেতৃত্বে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি গঠন হয়।
ড. কর্ণেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম এর স্বপ্ন কে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে পথ প্রদর্শক হবে গণতান্ত্রিক যুবদল । এ লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক যুবদল কাজ করে যাচ্ছে অবিরত।
আমি বিশ্বাস করি কোন জাতি এগিয়ে যাওয়ার পিছনে সেদেশের যুব সমাজের ভ’মিকা অনেক। গনতন্ত্র, সুশাসন ও বাকস্বাধীনতা বাংলাদেশ নামক ভ’খন্ডে আজ অনুপস্থিত। এর উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যেতে হবে এই দেশের যুবসমাজ কে।
নির্দ্বিধায় বলা যায়, পরিবর্তনশীল বিশ্বের চাহিদা মোতাবেক যুবসমাজ কে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে পারলে দেশ কে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
সর্বপ্রথম আমাদের খুজে বের করতে, হবে কেন যুব সমাজ নেশাগ্রস্থ হয় ? কেন বিপদগামী হয় ? এর উত্তর একটাই -বেকারত্ব !
তাহলে আমাদের প্রথমে এই বিশাল যুব সমাজকে বেকারত্বের গ্লানি থেকে মুক্তি দিতে হবে। সে জন্য দরকার দেশে-বিদেশে বেশী বেশী চাকুরির বাজার সৃষ্টি করা। আর বেশী বেশী চাকুরির বাজার সৃষ্টি করতে হলে সর্বপ্রথম দরকার গণতন্ত্র আর স্থিতিশীল রাজনীতি।
তাহলে বাড়বে দেশী বিদেশী বিনিয়োগ, আর তাতেই সৃষ্টি হবে নতুন নতুন চাকুরির বাজার এবং উম্মোচন হবে নতুন নতুন দ্বার। আর এ দ্বার সৃস্টি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক যুবদল।
যুব সমাজের অধিকার যেমন: কারিগরী শিক্ষা,সঠিক প্রশিক্ষণ, ব্যাংক ঋণ,ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে যুব সমাজ কে আলোর পথ দেখানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক যুবদল। গণতান্ত্রিক যুবলের গঠনতন্ত্রে এই বিষয়গুলো আমরা যুক্ত করে এবং তদানুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নেশা মুক্ত দেশ গড়তে দেশের সকল নাগরিকের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি সকল ক্ষেত্রেই যথাযথ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে এ যুব সমাজ একদিন দেখবে আলোর মুখ।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করাও দুর্নীতি হিসেবে গন্য ।
এই ক্ষমতা সরকারী, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক দিক থেকে হতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রই দুর্নীতিতে আক্রান্ত আর এ দুর্নীতির কালো থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে সরকার, যুব সমাজ ও সাধারন জনগণের ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
আর এই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যুবসমাজ কে কাজ করে যেতে হবে। আর সেভাবে গণতান্ত্রিক যুবদল নিজেরা তৈরী হচ্ছে এবং অন্য কে তৈরী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
একজন শুদ্ধ ,ত্যাগী, নিষ্ঠাবান, অপ্রতিরোধ্য, অবিসংবাদিত, প্রজ্ঞাবান, জাতীয় বীর, ড. কর্ণেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম এর নেতৃত্বে আমি বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক যুবদল হবে একদিন যুব সমাজ, সমাজ, তথা দেশের মুখপাত্র।
রাজনীতি মানে ব্যবসা নয়, রাজনীতি মানে সেবা, রাজনীতি মানে ত্যাগ, রাজনীতি মানে দেশপ্রেম। আমরা চাই সৎ রাজনীতিবিদ, সৎ রাজনীতিবিদরাই পারেন দেশপ্রেম উপহার দিতে।
এছাড়া দেশের, সমাজের ও জনগনের মুক্তির কোন পথ নেই। এ পথের ভবিষ্যত কান্ডারী যুবক-তরুণরাই। তরুনরাই পারে ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধই তার দাললিক প্রমান।
যুবসমাজের হাতে রাজনীতি ছেড়ে দিতে হবে তাহলেই রাজনীতি পরিশুদ্ধ হবে, রাজনৈতিক দুরদর্শিতার সঙ্গে নেতা নির্বাচন করতে হবে তাহলে মেধাবী রাজনীতিবিদ জন্ম নিবে। ধৈর্য্য আর সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে এদেশের মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভ’ল করেনা।
এত মেঘ কাটিয়ে সূর্য ওঠা অসম্ভব মনে হতে পারে। কিন্তু তা যে হতেই হবে এবং করতেই হবে। গণতান্ত্রিক যুবদল মানুষের মুক্ত চিন্তা ও জিজ্ঞাসার জানালার নতুন সমাজ মেলে ধরতে চায়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস