চীনে চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন গম উৎপাদন দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। গত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উৎপাদন কমল। ভারি বৃষ্টিপাত দেশটির গম উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খবর রয়টার্স।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস জানায়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম উৎপাদক দেশটিতে চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন গম উৎপাদন হয়েছে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টন। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় উৎপাদন কম হয়েছে। এ বছর গম আবাদের পরিমাণ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।
এসডিআইসি এসেন্স ফিউচার্সের বিশ্লেষক হুয়ান তিয়ান বলেন, ‘চীনে চলতি বছর গমের ব্যাপক মজুদ রয়েছে। ফলে উৎপাদন কমলেও তা স্থানীয় বাজারে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।’
বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় বাজারে খাদ্যপণ্যের দামেও খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এর প্রধান কারণ পর্যাপ্ত মজুদ। তবে উৎপাদন কমার কারণে দেশটির আমদানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছে। কৃষ্ণসাগরীয় খাদ্যশস্য চুক্তি সম্প্রসারণ না হলে রফতানি প্রবাহ আরো ব্যাহত হতে পারে। তার ওপর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। এসব দেশে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় চীনে উৎপাদন কমে যাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।
চীনের খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, জমি থেকে গম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছু আগেই হুনানসহ দেশটির প্রধান আবাদি অঞ্চলগুলোয় তীব্র বৃষ্টিপাত দেখা দেয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উৎপাদন ও সংগ্রহ কার্যক্রম।
এনজে