সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দের ঊর্ধ্বে সৎ, যোগ্য, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের নির্বাচিত করার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ জুলাই) সেনাবাহিনীর সদর দফতরে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘সেনাবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৩’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এ নির্দেশনা দেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সেনাবাহিনী জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, তা ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আহ্বান জানান। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সামগ্রিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশের প্রতিরক্ষার কাজে নয়, বরং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবিচ্ছেদ্য অংশীদার।
দেশের যেকোনো দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
সেনাবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
এএ