আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। আগামী দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে চাহিদা কমতে পারে। এ আশঙ্কায় জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিশ্বের শীর্ষ তেল ভোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, দেশটির অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। ফলে সেখানে চাহিদা সংকুচিত হতে পারে। ফলে জ্বালানি পণ্যটি দর হারিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দর স্থির হয়েছে ৮৩ ডলার ৬৫ সেন্টে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) চুক্তি মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৫১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৯ ডলার ৫৮ সেন্টে।
তবে দৈনিক ভিত্তিতে কমলেও সাপ্তাহিক হিসাবে চলতি সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম ৫ শতাংশের ওপর বেড়েছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। পূর্বাভাসকে যা ছাড়িয়ে গেছে। ধারণা করা হয়েছিল, এসময়ে তা হবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ইউএস বাণিজ্য বিভাগ এ তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আলোচ্য সময়ে দেশটির অর্থনীতি ইতিবাচক রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের নামে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইলিনয়সের গ্যালেনা ভিত্তিক রিটারবুশ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সভাপতি জিম রিটারবুশ বলেন, এখন পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে-এ কথা বলা যাবে না। বিগত মাসগুলোতে যা শুধুই কমেছে।
এএ