ভিয়েতনামের চাল রফতানি বেড়েছে ২১ শতাংশ

সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৩-০৮-১৭ ১০:৩১:০০


ভিয়েতনামের চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়ছে ভিয়েতনামের রফতানি। বিভিন্ন দেশে বৈরী আবহাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া, ভারতের রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা দেশটিকে রফতানি বাড়াতে সহায়তা করেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

এ বিষয়ে ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটির চাল রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টনে।

মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর ৭০-৮০ লাখ টন চাল রফতানির সম্ভাবনা দেখছে ভিয়েতনাম। এ বছর ২ কোটি ৭০ লাখ থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির যা স্থানীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট।

এদিকে বার্ষিক চাল রফতানি লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিয়েতনাম। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি রফতানির পরিমাণ ৪০ লাখ টনে নামিয়ে আনবে, যা বর্তমান সময়ের তুলনায় অন্তত ৪৪ শতাংশ কম। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে দেশটির সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করে।

ভিয়েতনাম বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক। ভারত ও থাইল্যান্ডের পরই দেশটির অবস্থান। গত বছরও দেশটি ৭১ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। তবে আগামী বছরগুলোয় রফতানি এর চেয়ে অনেক কমিয়ে আনা হবে। উদ্দেশ্য স্থানীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি উচ্চমানসম্পন্ন চাল রফতানি বাড়ানো।

সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে ২০৩০ সাল নাগাদ চাল রফতানি থেকে দেশটির বার্ষিক আয় কমে ২৬২ কোটি ডলারে নামতে পারে, যা গত বছর ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার।

হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিয়েতনামে ধান আবাদ কমছে। ফলে কমছে চাল উৎপাদন। কৃষক এখন অন্য ফসল উৎপাদনে বেশি আগ্রহী। চিংড়ি চাষও বাড়াচ্ছেন তারা। মেকং ডেল্টার কৃষক তাদের আবাদি জমির একটি অংশকে ফলের বাগানে রূপান্তর করছেন। যদিও বড়সংখ্যক কৃষক এখনো চালের ওপরই নির্ভরশীল।

সরকারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফিলিপাইন লম্বা সময় ধরেই দেশটির প্রধান চাল ক্রেতা। গত বছর মোট রফতানির ৪৫ শতাংশই গেছে দেশটিতে। ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি একটি আঞ্চলিক বৈঠকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে কম দামে ফিলিপাইনে চাল রফতানিতে ইচ্ছুক ভিয়েতনাম। তবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাল রফতানি বাজারে বৈচিত্র্য আনছে ভিয়েতনাম।’

২০২৫ সালের মধ্যে ভিয়েতনামের রফতানিযোগ্য চালের ৬০ শতাংশই সরবরাহ করা হবে এশিয়ার বাজারে। এছাড়া আফ্রিকার বাজারে ২২ শতাংশ, আমেরিকার বাজারে ৭, মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে ৪ ও ইউরোপের বাজারে সরবরাহ করা হবে ৩ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার বাজারে রফতানি হিস্যা কমে ৫৫ শতাংশে নামবে।

এনজে