দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কান্তনগর এলাকার উঁচু জমিগুলোতে অসময়ে লাল শাক চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। এই এলাকার জমিগুলোতে দেখলে মনে হবে যেন লাল কার্পেট বিছানো রয়েছে। স্বল্প খরচে কম সময়ে লাল শাক উৎপাদন করা যায়। যে কারণে কৃষকরা দিন দিন এ শাক চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
সম্প্রতি আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় লাল শাক চাষে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে থাকে প্রোটিন ৫.৩৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৭৪ মিলিগ্রাম, স্নেহপদার্থ ০.১৪ মিলিগ্রাম, শর্করা ৪৯৬ মিলিগ্রাম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, আঁশ জাতীয় উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, নানান ভিটামিন – ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যারোটিন, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ।
সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা দল বেঁধে মাঠজুড়ে লাল শাক তুলছেন। শাক তোলার পর সেগুলো আঁটি করে বেঁধে রাখছেন। আঁটিগুলো পানিতে ধুয়ে পরিস্কার করে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাজারে প্রতি আঁটি শাকের দাম ১৮-১৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক রুহুলাল জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে লাল শাকের বীজ রোপন করেছেন। এতে তার প্রায় ৫০০০০ হাজার টাকা লাভ বলে আশা করছেন। এক বিঘা জমিতে লাল শাক আবাদে খরচ হয় মাত্র ৫-৭ হাজার টাকা। লাল শাকের বীজ ছিটানোর পর মাত্র ১৮-২০ দিনে শাক বাজারজাত করা যায়।
এক জন কৃষক জানান, তার ১২ কাঠা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকার লাল শাক বিক্রি করেছেন।
কৃষকরা জানান, আলু বা পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুম শুরুর আগে ফাঁকা সময়টাতে লাল শাক চাষে তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এনজে