শেরপুরের মেয়ে নিরা আক্তার। তিনি অনলাইনে শাল ও পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করেন। শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তিনি এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি নকশাঘর নামের একটি পেজের মাধ্যমে তার পণ্য প্রদর্শন ও ডেলিভারি করেন।
নিরা আক্তারের কাছে তার উদ্যোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘‘২০২০ সালের মার্চে আমার কাজ শুরু করি। তখন আমি ইন্টার ফাস্ট ইয়ার এ পড়ি। পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে সবসময় ভাবতাম পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করতে হবে। তারপর ৩ বান্ধবী মিলে শুরু হয় আমাদের কাজ। জামালপুর এ হাতের কাজের জামা নিয়ে শুরু করে দেই। প্রথমে ১৫ পিস দিয়ে শুরু করি। আমাদের পণ্য অফলাইনে তেমনটা সেল করতে পারতাম না। তেমন পরিচিত ছিলোনা । তারপর এক বড় বোনের মাধ্যমে এড হলাম ওমেন এন্ড ই-কর্মাস ট্রাস্ট (উই) গ্রুপে । এই গ্রুপ আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নকে আবারও জাগিয়ে তুলেছে। ভেবেছিলাম কিছু করতে পারবোনা। আসলে অনলাইনে ও যে কাজ করে সফল হওয়া যায় উইতে না আসলে বুঝতেই পারতাম না।যখন থেকে সেল হওয়া শুরু হলো তখন থেকে নিজের ওপর বিশ্বাসটা বেড়ে গেলো।’’
তিনি আরও বলেন, আগে মাল স্টক করার সাহস হয়ে উঠেনি। এখন ১০/২০ হাজার টাকার মাল ও স্টক করতে দ্বিধাবোধ হয় না কারণ নিজের ওপর নিজের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গিয়েছে যে আমি পারবো। ২০২১ সালে বগুড়া গিয়ে ২০০ পিস শাল এনেছিলাম আর সেটাই সহযোগী ছিলো আমার বাবা। আর এই ২০০ পিস শাল আমি শুধু মাত্র ঘরে বসেই সেল করেছি। সেটাতেও আমি সফল হয়েছি। চেষ্টা ছিলে বলে আজ আমি এগিয়ে। তিনি এখন পর্যন্ত লাখ টাকার উপরে সেল করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘ভয় পেতাম বিয়ের পর আমার উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে স্বামী এবং মা বাবার সার্পোট সবসময় ছিলো বলেই আমি আজ এতদূর আসতে পেরেছি। এখন আমার সকল কাজের সহযোগী হচ্ছে আমার স্বামী।’’
এরপর ওমেন এন্ড ই-কর্মাস ট্রাস্ট উই আয়োজিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু হাত থেকে লাখপতি ক্রেস্ট পেয়েছি। এটা ছিলো আমার একটা বড় প্রাপ্তি।
আমি শুধু মাত্র আমার নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস এর জন্য এবং সকল কিছুতেই আমার স্বামী সার্পোট করেছে বলেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, আগামীতেও আরো ভালো কিছু করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আমার পেইজ : Unique design - নকশাঘর
এনজে