বাজিরাও মাস্তানি, পাখি ড্রেসের নামে প্রতারণা!
প্রকাশ: ২০১৬-০৬-১০ ২১:৩৪:১০
“পাখি, কিরণমালা কিংবা বাজিরাও মাস্তানি” নামে অনেক ড্রেস (মেয়েদের পোশাক) হরহামেশাই বিক্রি করে লাভের তুঙ্গে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব অনেক পোষাকই আসল নয় বলে জানা যায় বিক্রেতাদের সূত্রে। বিভিন্ন ভুয়া ও নিম্নমানের ড্রেসে এসব চাহিদা সম্বলিত নাম ব্যবহার করে দেদারছে বিক্রি করছেন তাঁরা।
সূত্রে আরো জানা যায়, ভারতের থেকেও বাংলাদেশে এসব পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি। যে কারণে বিক্রি নিশ্চিত যেনে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফার এ পথ বেছে নিয়েছে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী।
এদিকে সবেমাত্র রোজার শুরুর প্রথম সপ্তাহ। এরই মধ্যে রাজধানীর শপিং মলগুলোতে আনাগোনা বেড়েছে ক্রেতা দর্শনার্থীদের। শুক্রবার বিকেলে নগরীর অনেক বড়-ছোট মার্কেট গুলোতে গিয়ে দেখা যায় ভিড়। তবে ক্রেতা থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যাই একটু বেশি দেখা যায়। রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় ‘চাঁদনি চক’ শপিং কমপ্লেক্সে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, “তাঁদের পছন্দের কিংবা কাঙ্ক্ষিত পোষাকটি আসবে কি না? বা কবে আসবে? অথবা দাম কেমন?” তা জানতেই এসেছেন তাঁরা।
অপরদিকে ক্রেতাদের এসব চাহিদার অসৎ ব্যবহার করছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। অনেক বিক্রেতাই দাবি করেছেন, ‘দেশের বাইরের যেসব পোশাকের চাহিদা ক্রেতাদের, সেগুলোর আসল দাম ও আসল পোষাক অনেক ক্রেতারই সাধ্যের বাইরে। সেখানে বিক্রেতাদেরও মুনাফা কম হয়। যে কারণে অতিরিক্ত চাহিদা সামাল দিতেই এসব পোশাক নকল করছেন তাঁরা।
চাঁদনি চকেরই এক ব্যবসায়ী ‘আবু ফয়জল’ যিনি লেডিস ‘ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড’ নামক একটি দোকানের মালিক। তাঁর দোকানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ অনেক দেশের পোশাকের সমারোহ রয়েছে। প্রতি বছর আলোচিত এসব পোশাকের বিষয়ে জানতে চাইলে পোশাকের ভেলকির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, “দেখেন সবাই বলে, এটা অমুক এটা তুমুক। আসলে এটা অনেকেই নিজেরা বিশেষ পরিচিত নামগুলো ব্যবহার করেন। বাস্তবে এসব অরিজিনাল পোষাক খুবই রেয়ার কেইস”।
উল্লেখ, প্রতি বছর ঈদ কিংবা পূজো। যে কোন উৎসবেই ভারতীর সিরিয়ালে প্রদর্শিত এসব পোশাকের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এটা বাংলাদেশের পোশাক খাতে ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন হিসেবে আখ্যা দিয়ে দেশের অনেক বিজ্ঞজনেরা বক্তব্য দিলেও দেশের ক্রেতাদের কাছে সে বক্তব্য যেন উপেক্ষিতই থেকে যায়। যদিও আবগের তাড়নায় প্রতিনিয়তই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।
সানবিডি/ঢাকা/আহো