ফিউচার মার্কেটে কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-০৮-২৯ ১১:১৩:০৮


ফিউচার মার্কেটে সোমবার মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমেছে। চলতি মাসে দেশটির রফতানি কমে যাওয়ার খবরে মূলত বাজার নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের বাজার চড়া হয়ে ওঠায় দাম কমার হার ছিল সীমিত। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে নভেম্বর সরবরাহ চুক্তিতে পাম অয়েলের বাজার আদর্শ দাম ৬ রিঙ্গিত বা দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৬ রিঙ্গিতে।

চলতি বছর বিশ্ববাজারে পাম অয়েলের দাম নিম্নমুখী থাকবে। তবে এ সময় বাজারে মন্দা ও সরবরাহ সংকটের আশঙ্কাও রয়েছে। শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল সরবরাহের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। ফলে গত বছরের তুলনায় পণ্যটির দাম ২৩ শতাংশ কমতে পারে।

মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা বেড়ে মহামারীপূর্ব অবস্থায় ফিরতে পারে। এতে তিন বছরের মধ্যে প্রথম দেশটির পাম অয়েলের বছরওয়ারি দাম কমতে যাচ্ছে।

পাম অয়েলের বাজার আদর্শ দাম গত বছর টনপ্রতি ৪ হাজার ৯১০ রিঙ্গিতে উন্নীত হয়েছিল। তবে এ বছর তা কমে ৩ হাজার ৮০০ ডলারে নামতে পারে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দাম কমবে ২৩ শতাংশ।

বর্তমানে চীন ও ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল ক্রেতা দেশ। দেশ দুটি পাম অয়েল আমদানি বাড়াচ্ছে। দেশ দুটিতে ব্যবহার বাড়ার কারণে বৈশ্বিক চাহিদায় বড় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এ কারণেই শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া চলতি বছর পাম অয়েল উৎপাদন বাড়াবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এদিকে ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে পাম অয়েল উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফিচ সলিউশনসের বিএমআই ইউনিট সম্প্রতি এ সম্ভাবনার কথা জানায়। তবে এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে।

এনজে