সকল অনিশ্চয়তাকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপ। উদ্বোধনী ম্যাচে আজ স্বাগতিক পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ নেপাল। ঘরের মাঠে জয়ের বিকল্প ভাবছে না বাবর-আফ্রিদিরা। এদিকে পাকিস্তানের মাঠে চমক দেখাতে মুখিয়ে আছে বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলা নেপাল।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায়।
ওয়ানডে ক্রিকেটে গত ৭-৮ বছর ধরে ধারাবাহিক ভালো খেলে যাওয়া বাংলাদেশ এবং উদীয়মান আফগানিস্তান। নতুন উঠে আসা নেপালও আছে এই টুর্নামেন্টে।
নিশ্চিত, অন্য মহাদেশের দেশগুলোর আফসোস, এমন জমজমাট একটি টুর্নামেন্টের অংশ হতে না পারার। সেই জমজমাট টুর্নামেন্টটি অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে আজ। পাকিস্তানের মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে ১৬তম এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের।
উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক পাকিস্তান এবং এশিয়া কাপে নবাগত নেপাল। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩০ মিনিটে শুরু হবে এশিয়া কাপের জমজমাট লড়াই। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে মোট ৬টি দেশ। আইসিসির পূর্ণ সদস্য ৫টি (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান) এবং সহযোগি সদস্য হিসেবে নেপাল। ভারত, পাকিস্তান ও নেপালকে ‘এ’ গ্রুপে এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে দিয়ে গঠন করা হয়েছে ‘বি’ গ্রুপ। গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হবে। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে মোট চার দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার ফোর। সেখানেও একে অপরের মুখোমুখি সবাই। সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
তবে এই এশিয়া কাপ যথা সময়ে মাঠে গড়াবে কি না তা নিয়ে ছিল যথেষ্ট সংশয়। এবারের টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে গিয়ে খেলবে না ভারত। যে কারণে পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় টুর্নামেন্টটি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান দিলো হাইব্রিড প্রস্তাব। যার অধীনে ভারতের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে নিরেপেক্ষ ভেন্যুতে।
প্রথমে পাকিস্তানের সঙ্গে আরব আমিরাতে আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু খুব বেশি তাপমাত্রা থাকার কারণে সেখানে গিয়ে খেলতে রাজি ছিল না কেউ। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে বেছে নেয়া হয় বিকল্প আয়োজক হিসেবে। মোট ১৩ ম্যাচের ৯টি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ৪টি ম্যাচ।
আরব আমিরাতের অতি তাপমাত্রার কথা বলা হলেও মুলতান এর চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নয়। পাকিস্তানের এই রাজ্যটিতে বহমান তাপমত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর চেয়েও বেশি অবশ্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ। এরমধ্যেই মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপের আসর।
এশিয়া কাপে এমন ঝাঁজ নতুন নয়। পাশাপাশি সীমান্তের কারণে যেমন থাকে রাজনৈতিক টানাপড়েন, তেমনি দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আবেগ আর এক ইঞ্চি জমি না ছাড়ার মানসিকতা এশিয়া কাপের রোমাঞ্চ নিয়ে গেছে অন্য মাত্রায়, যা ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায় না বিশ্বকাপেও। ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা তো আছেই।
এম জি