এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে বোলিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্ত ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি এই ব্যাটার। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তামিম। তাকে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান স্পিনার থিকসানা। এরপর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন আরেক ওপেনার নাইম।
তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাইম। দলীয় ২৫ রানে ১৬ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। দলীয় ৩৬ রানে ১১ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি। সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়।
হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করতে থাকেন শান্ত। ৬৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। তবে এর এক বল পরেই দলীয় ৯৫ রানে আউট হন হৃদয়। ৪১ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ১২৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। ২২ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৪১ রানে ১১ বলে রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান। তবে টিকতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৬২ রানে ১৬ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত। দলীয় ১৬২ রানে ১২২ বলে ৮৯ রান করেন শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এএ