মাত্র তিন দিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসহায় এক ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে পরের ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো টাইগাররা। আফগানিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে আফগানিস্তানকে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মিরাজ এবং নাঈম শেখ শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন। তাতে প্রথম তিন ওভারেই রান আসে ৩০ রান।
ধীরে ধীরে রানের গতি কিছুটা কমলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রেখেছিল বাংলাদেশ। ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ রান। সাত ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ দেখল বাংলাদেশ।
দশম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুজিব-উর-রহমান। ৩২ বলে ২৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন নাঈম শেখ। পরের ওভারে আউট হন তাওহীদ হৃদয়। নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয়।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন শান্ত এবং মিরাজ। রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের বিপক্ষে দাপুটে ব্যাটিং করে দুজন মিলে গড়েন ১৯৬ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত হাতে ব্যথা নিয়ে মিরাজ মাঠ ছাড়লে ভাঙে সেই জুটি। ১১৯ বলে ১১২ রান করে শেষ পর্যন্ত রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ।
বন্ধুর বিদায়ের পর শান্তও ফেরেন দ্রুত। ১০৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রান আউট হন তিনি। ৯ চার ও ২ ছয়ের ইনিংসে স্ট্রাইক রেটও ছিল দারুণ।
শান্ত-মিরাজের বিদায়ের পর হাল ধরেন মুশফিক সাকিব। দুজনেই খেলেন গুরুত্বপূর্ণ দুই ক্যামিও ইনিংস। রান আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিক। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন টাইগার অধিনায়ক।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন শামীম পাটোয়ারী। ৬ বলে ১১ রান করে রান আউট হয়েছেন তিনি। ৩ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন আফিফ।
এএ