যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তরুণ সংঘ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচল জন্য আপারভদ্রা নদীর ওপরে একটি বাশের সাঁকো আছে। ওই সাঁকো দিয়ে দিয়ে পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু কিছু দিন আগে এটির কিছু অংশ ভেঙে পেড়েছে।
এতে ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি- পেশার মানুষ। মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে এখানে একটি সাঁকো নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিজানুর রহমান বলে, পড়াশুনো করতে হলে ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়েই আসতে হবে। কারণ, সাঁকোর মাথায় এক পারে বাড়ি। সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় প্রতিদিন মিজানুর রহমানের মতো অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি পোহায়। জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সাঁকোটি এখন পাঁচ গ্রামের মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলকাবাসী জানান, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া রামকৃষ্ণপুর, পাথরা, মাথা ও পাঁচারই গ্রামের মানুষ এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া পাঁচারই তরুণ সংঘ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাঁচারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আপারভদ্রা নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে যাওয়া অংশে একটি বাঁশ বেঁধে দিয়ে কোনোরকমে ভাঙা সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবসী চলাচল করছে। পা ফসকে পড়ে গেলেই নদীর মধ্যে পড়ে যাবে। এতে যেকানো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন ওই সাঁকো পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
ভাঙ্গা সেতু দিয়ে চলাচল করছে। পাঁচারই তরুণ সংঘ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বসুন্তিয়া গ্রামের এক ছাত্রী বলেন, 'ঝুঁকি জেনেও ওই সেতু পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছি।' এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসিনা খাতুন বলেন, তাঁর এমনিতেই পায়ে ব্যথা। পায়ের ব্যথা নিয়ে ওই সেতু পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে স্থানীয় মঙ্গলকোট ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের বিশ্বাস বলেন, সাঁকো ভেঙে গিয়েছে বলে শুনেছেন। তিনি দ্রুত সাঁকোটি সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
এম জি