চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ১দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের
(এলএনজি) বৈশ্বিক রফতানি। ইউরোপের বাজারে ব্যাপক হারে চাহিদা বৃদ্ধি এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। রফতানিতে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কাতার। শিপব্রেকার প্রতিষ্ঠান বাঞ্চেরো কস্তা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাঞ্চেরো কস্তার প্রতিবেদনে বলা হয়, সমুদ্রপথে এলএনজির বৈশ্বিক বাণিজ্য অব্যাহতভাবে বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। দেশটিতে সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপ। বিপরীতে অঞ্চলটিতে এলএনজি আমদানির পরিমাণ ব্যাপক বেড়ে যায়। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বৈশ্বিক এলএনজি রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৮ লাখ টনে।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের দেয়া তথ্যমতে, গত বছর বৈশ্বিক এলএনজি রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৪০ কোটি ৪১ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানির গতি বলিষ্ঠ ছিল। তবে এরপর গতি কিছুটা ধীর হয়ে পড়ে।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে অস্ট্রেলিয়া ৫ কোটি ৩৯ লাখ টন এলএনজি রফতানি করে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ সময় যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৪ লাখ টন।
দুই বছর ধরে এলএনজি রফতানিতে কাতারকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রেফিনিটিভের দেয়া তথ্যমতে, গত বছর অস্ট্রেলিয়া ৮ কোটি ১৩ লাখ টন এলএনজি রফতানি করে, যা মোট বৈশ্বিক রফতানির ২০ দশমিক ১ শতাংশ। কাতার রফতানি করেছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ টন, যা বৈশ্বিক রফতানির ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্র রফতানি করে ৭ কোটি ৯৪ লাখ টন, যা বৈশ্বিক রফতানির ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ইউরোপের দেশগুলো ৬ কোটি ৯৮ লাখ টন এলএনজি আমদানি করে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর অঞ্চলটি মোট ১০ কোটি ৯ লাখ টন এলএনজি আমদানি করে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি আমদানি।
এনজে