ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর উদ্যোগে ‘রোযা ও তাকওয়ার আলোকে মানবিক ব্যাংকিং’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল ১৪ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। আলোচনা উপস্থাপন করেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এম আযীযুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুর রশীদ ও মাসজিদ আত-তাকওয়া, ধানমন্ডির খতিব আল্লামা সাইয়্যেদ জুলফিকার জহুর। বিচারপতি, কূটনীতিক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সিনিয়র ব্যাংকার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, উলামাসহ ব্যাংকের ডাইরেক্টর ও উর্দ্ধতন নির্বাহীবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার সভাপতির ভাষণে বলেন, বহুমুখী আর্থিক সেবা, প্রয়োজনীয় খাতে বিনিয়োগ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। সাধারণ মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা ও গরিব জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এ ব্যাংকের লক্ষ্য। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে একটি দরদী ও মানবিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে এ ব্যাংক।
তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ ও অন্যান্য সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বৃহৎ শিল্পে অর্থায়নের পাশপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নেও কাজ করছে এ ব্যাংক।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ইসলামী ব্যাংক তাকওয়াভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। শুধু মুনাফা অর্জন নয় বরং সার্বজনীন আর্থিক কল্যাণ বাড়ানো ও অকল্যাণ দূর করা এ ব্যাংকের লক্ষ্য। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার জন্ম।
তিনি বলেন, অর্থনীতি ও আর্থিক কারবারে শোষণ, বৈষম্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে তাকওয়ার গুণসম্পন্ন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা প্রয়োজন। ব্যাংকিং নীতি ও পদ্ধতি তাকওয়াভিত্তিক হলে মানুষ এই প্রতিষ্ঠান থেকে কল্যাণ লাভ করবে। এর ফলে গড়ে উঠবে মানবিক ব্যাংকিং ও একটি দরদী সমাজ।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, রোযা মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণকর বানায়। মানুষের জৈবিক ও আত্মিক সত্তাকে পরিশুদ্ধ করে। রোযার মাসে মানবজাতির জন্য দয়া ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হয়। ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা, সহানুভূতি, ধৈর্য ও সংযম বৃদ্ধি পায়। রোযা ব্যক্তির আচরণ সংশোধন করে জীবনকে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে। আত্মার শুদ্ধতা ও নৈতিকতা বাড়ায়। প্রয়োজনহীন চাহিদা ও লোভ দমন করে মানুষকে দায়িত্বশীল বানায়। ফলে সমাজে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো