দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কমতির দিকে পেঁয়াজের দাম। দুদিনের ব্যবধানে হিলিতে মসলাপণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ৩-৪ টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হিলিতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কমতির দিকে পণ্যটির দাম।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ভারতীয় ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (ট্রাকসেল) কেজিপ্রতি ৪৪-৪৫ টাকায়, যা দুদিন আগেও ছিল ৪৮ টাকা। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০-৫১ টাকা, যা দুদিন আগে ছিল ৫৪-৫৫ টাকা।
পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্কারোপের ফলে দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল নিত্যপণ্যটির বাজার। সরবরাহ কমায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বাজার। তবে শুল্কারোপের পরও ভারতসহ বিদেশী পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করায় সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ফলে বাজারে পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত। সোমবার বন্দর দিয়ে ৩৭টি ট্রাকে ১ হাজার ১০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আগের দিন রোববার ২৫টি ট্রাকে ৭৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। পেঁয়াজ গরমে ও বৃষ্টির পানিতে পচে যায়। বিষয়টি মাথায় রেখে কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়নসহ সব কার্যক্রম শেষে দ্রুত যেন ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাস দিতে পারেন, সেজন্য আমরা কাজ করছি।’
বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। সর্বশেষ রবি মৌসুমে দেশে রেকর্ড ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় ও সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ভোক্তাপর্যায়ে এক-চতুর্থাংশ পেঁয়াজ নষ্ট ও শুকিয়ে ওজন কমে যায়। ফলে সংকট দেখা যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার।
এনজে