ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) এগ্রো-সিএসআর প্রকল্প ২০২৩ ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী মানিকগঞ্জ জেলার নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জের কৈট্টায় প্রশিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষিখাতে সহায়তা প্রদানের জন্য এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ইউসিবি। প্রশিক্ষণে মানিকগঞ্জ জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় ২৩০জন কৃষি উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলএসসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান এফসিএস বলেন, বাণিজ্যিক কৃষি বিকাশ ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের দোরগোড়ায় হাজির হয়েছি। কৃষক যাতে খুব সহজেই, সহজশর্তে ঋণ গ্রহণ করে তাদের কাঙি্ক্ষত ফসল উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারেন, সেই চেষ্টায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য আমরা আমাদের প্রকল্পের নাম দিয়েছি ‘ভরসার নতুন জানালা’। আমরা মূলত প্রান্তিক কৃষকদের মনে ভরসা জাগাতে চাই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খোকন হোসেন, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, প্রশিকার উপনির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসিবির শাখা ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফা কামাল।
একই দিন টাঙ্গাইল জেলার ব্যুরো বংলাদেশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় ২৬০জন কৃষি উদ্যোক্তাকে নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাশেদ, ব্যাংকের জেলা শাখার ব্যবস্থাপক নূর উদ্দিন আহমেদ। প্রশিক্ষণে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ ও কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের পথপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামক কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৯টি জেলায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণে সহজ শর্তের কৃষি ঋণ বিতরণ ও কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের পথপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া কৃষি উদ্যোক্তা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরাজমান ‘দুরত্ব’ কমিয়ে আনা, উন্নত ও সমৃদ্ধ কৃষির বিকাশে সহজ শর্তে ও মানবিক অর্থায়নের সুযোগ সম্প্রসারিত করার উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
এএ