দূর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানের আজ ভারতে গেল ৪৫ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে করে ৪৫ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশের চালান প্রবেশ করে।
আজ যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ইলিশ মাছ রপ্তানি করছেন তারা হলেন মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিসা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ ও প্যাসিফিক সি ফুড। এবং ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম এস আর ইন্টারন্যাশনাল, নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বারখা বিকাস ফিস এজেন্সি।
চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন এমি এন্টারপ্রাইজ এবং গনি এন্ড সন্স নামে দুটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার।
গত বছর পূজা উপলক্ষে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলেও মাত্র ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর তারা ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ থেকে।
দুই দেশেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। এ ইলিশ ভারতে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশি ৭৯ টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার বাংলাদেশের ৭৯ জন রপ্তানিকারকের প্রত্যেককে ৫০ টন করে মোট ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত ইলিশ ভারতে রফতানির নির্দেশনা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
সি অ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি ম্যানেজার রাজু আহম্মেদ জানান, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের সব চালান পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে দুর্গাপূজার মৌসূমে কলকাতায় ইলিশ পাঠিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
এএ