সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, যেখানেই খোঁজ নিচ্ছি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম দুয়েকশ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। যে কোনও মূল্যে ন্যায্যদামে এলপিজি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিইআরসি নজরদারি করছে, অপরেটরদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। দরকার হলে লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে ‘হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন।
অন্যদের মধ্যে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি সচিব মো নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান ও বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।
সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিলারশিপ নিয়োগের ক্ষেত্রে আমদানিরকারকদের নজরদারি থাকা দরকার। ডিলারের উপ-ডিলার, তারপর খুচরা বিক্রেতা; এভাবে কয়েকহাত ঘুরে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৪৭ হাজার টন, এখন ১৪ লাখ টনের উপরে জানিয়ে তিনি বলেন, চাহিদা ২০ থেকে ২২ গুণ বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এটার যুগপোযোগী নীতিমালা জরুরি, আরও আধুনিক নীতিমালা করা দরকার। যানবাহন, কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা দরকার। আমাদের দেশ উন্নয়ন হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। রেগুলেটরকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বহুতল ভবনে এলপিজি ব্যবহার করতে পারে। তারা একটি এলাকা ধরে কাজ করতে পারে। পাইপলাইনে গ্যাস দিতে গেলে প্রচুর পরিমাণের চোরাইলাইন তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে কোথায় কীভাবে গ্যাস দেবো, তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।
এম জি