নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে কমতির দিকে ডালের বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে ডালের দাম কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ২-৪ টাকা কমেছে। বেচাকেনায় মন্দার কারণে দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নিতাইগঞ্জ বাজারে দেখা যায়, বাজারে দেশী মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১১৬ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১৭ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১ টাকা। ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২৯ টাকা কেজি দরে, যা সাতদিন আগে ছিল ১৩০ টাকা। সে হিসাবে এর দামও কমেছে কেজিতে ১ টাকা।
মোটা মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৯২ টাকা কেজি দরে, যা কিছুদিন আগে ছিল ৯৫-৯৬ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ৩-৪ টাকা। ভাঙা মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৩ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে কেজিতে ৩ টাকা।
অ্যাংকর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৫৩ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২ টাকা।
ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে ৭৩ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৯ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪ টাকা। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৭৮ টাকা কেজি দরে, যা কয়েকদিন আগে ছিল ৭৫ টাকা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ টাকা। ভাঙা বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৭৬ টাকা কেজি দরে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৭৩ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৩ টাকা।
খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৭৯ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ ধরে খেসারি ডালের দাম একই। মুগডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১০৭ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০৫ টাকা। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২ টাকা।
নিতাইগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী বিষ্ণু সাহা জানান, ডালের দাম হঠাৎ করেই কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেচাকেনায় খুবই মন্দা ছিল। যে কারণে ডালের দাম কমেছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তবে দাম কমলেও বর্তমানে বাজারে যে দামে ডাল বেচাকেনা হচ্ছে তাও খুব বেশি।
এনজে