বিএনপিকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্যাপ্টেন আসতেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে ক্যাপ্টেন এখন ওয়াশিংটনে আছেন। প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মেনে নয়। একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারো নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল কি এজেন্সি পেয়েছেন? ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। তারা পারেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে। নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। কাজেই আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, তাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবেন না।
আওয়ামী লীগ কর্মীদের গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ কারো কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কিভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত মায়ের বুক খালি করে, কতজনকে স্বামীহারা, বাবাহারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে তবু আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এএ