মানবিক সহায়তা থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ার প্রতিবেশীদের সাথে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আফগানিস্তানের মুদ্রাকে বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এর পরপরই দেশটিতে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থও আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এসব ঘটনায় ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়ে তালেবান।
২০২১ সালের মার্চ মাসে এক মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যেত ৭৭ দশমিক ৩০ আফগানি (আফগান মুদ্রা)। তালেবানের ক্ষমতা দখলের এক দিন আগে এক ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৮ আফগানিতে পৌঁছায়। তালেবান ক্ষমতা দখলের পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয় যে, ২০২১ সালের নভেম্বরে এক মার্কিন ডলারের মূল্য ১৩০ আফগানিতে পৌঁছায়। চলতি মাসে ডলারের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৭৮ আফগানি।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চলতি বছর ডলারের বিপরীতে আফগানির দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, নগদ অর্থের প্রবাহ ও রেমিট্যান্সের কারণে চলতি প্রান্তিকে আফগানির মান ৯ শতাংশ বেড়েছে। এটি কলম্বিয়ার মুদ্রা পেসো থেকে ৩ শতাংশ বেশি। সেই হিসাবে চলতি বছর কলম্বিয়া ও শ্রীলঙ্কার পরই বিশ্বের তৃতীয় সেরা মুদ্রা হচ্ছে আফগানি।
দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসা তালেবান আফগানিকে শক্তিশালী করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় লেনদেনে ডলার ও পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকে মার্কিন ডলার আনার ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তালেবান অনলাইন বাণিজ্যও অবৈধ ঘোষণা করেছে। এসব আইন না মানলে কারাদণ্ডের ব্যবস্থাও রেখেছে তালেবান সরকার।
এএ