পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলব না এমন কথা কাউকে, কখনো আমি বলিনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। আমি মানসিকভাবে বেশ ফুরফুরে ছিলাম। যা শেষ চার-পাঁচ মাস হয়েছে…আমি আবারও খেলতে মুখিয়ে ছিলাম। বিশ্বকাপের জন্য তাকিয়ে ছিলাম।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তামিম বলেন, আমি কোনো সময়, কোনো মুহূর্তে কাউকেও বলিনি যে আমি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবো না। এই কথাটা কোনো সময় হয়নি। এটা একটা মিথ্যা কথা ভুল কথা। আমি জানি না কে বা কাহারা মিডিয়াকে কথাটা বলছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি অবসরে যাই। অবসরে যাওয়ারও কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আমি আবার অবসর থেকে ফিরি। এই দুই মাস আমি প্রচণ্ড পরিমান কষ্ট করে নিজেকে ফিট করার চেষ্টা করি। ফিজিও ট্রেইনারা যারা ছিলেন তারা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে, তারা আমাকে যা যা করতে বলছে যে সেশনে আমি তা তা করি নাই নিজেকে ফিট করার জন্য।
ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।
এরপর ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তাও পরিষ্কার করে দেন তামিম, ফিজিও’র রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।
কিউইদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রেস্ট নেওয়ার বিষয়ে দেশসেরা ওপেনার বলেন, শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে। আমি কোথাও বলিনি যে, পাঁচটা ম্যাচ খেলবো বা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারবো। এটা মিথ্যা। জানিনা কিভাবে এটি মিডিয়াতে ছড়ানো হয়েছে। শুধু তিন নির্বাচককে জানিয়েছিলাম যে আমার শরীর এরকমই থাকবে। এখন যেরকম অবস্থায় আছে। আমার ব্যথা থাকবে। আপনারা যখন দলটা নির্বাচন করবেন, তখন এটা মাথায় রাখবেন।
তামিম আরও বলেন, আমি কোনো কন্ট্রোভার্সি চাইনি। বিশ্বকাপের মাঝেও যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, তাই যাতে কোনো ঝামেলা না হয় তাই আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম।
বিসিবির পক্ষ থেকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে জানান তামিম, বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললো, ‘তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না। ‘‘আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তো কি কারণে খেলবো না?’’ তখন বললো, ‘’আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।’’
এর আগে ফেসবুকে তামিম ইকবাল লিখেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলব। গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত-সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।
এএ