চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সয়াবিনের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। এ নিয়ে টানা ৩ প্রান্তিকে তেলবীজটির দাম কমলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার নানা দেশেও তেলবীজটি উৎপন্ন হয়েছে বেশ। ফলে বিশ্ববাজারে সরবরাহ বেড়েছে। তাতে পণ্যটির বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দর সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য কার্যদিবসে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) তেলবীজটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।
প্রতি বুশেলের মূল্য স্থির হয়েছে ১৩ ডলার ০২ সেন্টে। তবে তা দৈনিক ভিত্তিতে এখনও গত ১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে।
সবমিলিয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সয়াবিনের দরে পতন ঘটেছে ১৫ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ৩ ত্রৈমাসিকে তেলবীজটির মূল্য হ্রাস পেলো। এ বছরের চতুর্থ প্রান্তিকেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে (বিভিন্ন দেশে) সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মার্কিন মুলুকেও উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে তেলবীজটির দর চাপে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিবিওটিতে সয়াবিনের নিট বিক্রেতা ছিল কম্মোডিটি ফান্ডগুলো। নিট ক্রেতাও ছিল সেগুলো।
এছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো তেলবীজের আমদানি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা চীনও ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। ফলে সয়াবিন দর হারাচ্ছেই।
এএ