মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস এমপিওবির
সানবিডি২৪ আপডেট: ২০২৩-০৯-৩০ ১০:১০:৫৫
মালয়েশিয়ায় এল নিনোর প্রভাব সত্ত্বেও আগামী বছরজুড়ে পাম অয়েল উৎপাদন বাড়বে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি)। পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তেলবীজ উৎপাদনে এ প্রবৃদ্ধি পাবেন মালয়েশিয়ার কৃষকরা। খবর রয়টার্স।
এ বিষয়ে এমপিওবির মহাপরিচালক আহমেদ পারভেজ গোলাম কাদির সম্প্রতি বলেছেন, ২০১৬ সালে এল নিনোর প্রভাবে পাম অয়েল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। সে বছর ২০ শতাংশ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। তবে এ বছর এখনো এল নিনোর প্রভাব ততটা গুরুতর হয়নি।
এর আগে গত মে মাসে এমপিওবি এক পূর্বাভাসে বলেছিল, ২০২৪ সালে তেলবীজটির উৎপাদন ১০-৩০ লাখ টন পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সম্প্রতি ওই পূর্বাভাস সংশোধন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক শিল্প সম্মেলনের সাইডলাইনে আহমেদ পারভেজ বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এল নিনোর খুব শক্তিশালী বা গুরুতর কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখতে পাচ্ছি না।’
এল নিনো হচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পানির উষ্ণায়ন, যা এশিয়ায় শুষ্ক অবস্থার সৃষ্টি করে। এর প্রভাবে কিছু ফসলের উৎপাদন কমে যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে আরো বেশি ফলন আশা করছি। কারণ হচ্ছে, আমাদের ভালো শ্রমিক সুবিধা রয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা চাষাবাদের আওতায় আসছে।’
টানা তৃতীয় বছরের মতো ২০২২ সালে হাজার হাজার পাম অয়েল পচে গিয়েছিল। ফসল কাটার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় এ সমস্যায় পড়েছিলেন চাষীরা।
২০২২ সালে মালয়েশিয়া ১ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন করেছিল। আহমেদ পারভেজের প্রত্যাশা, চলতি বছর তেলবীজ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৯০ লাখ টনে। ক্রমবর্ধমান হারে রফতানি বাড়ায় ২০২৩ সাল শেষে মজুদের পরিমাণ গত বছরের ২২ লাখ টনের কাছাকাছি থাকবে বলে জানান তিনি।
মালয়েশিয়া গত বছর ১ কোটি ৫৭ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ১ কোটি ৬৩ লাখ টনে। রফতানি পূর্বাভাসে এমনটাই বলছে এমপিওবি।
কেক, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে নানা ক্লিনিং প্রডাক্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পাম অয়েল। বাজারে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া, ইউক্রেন ও কানাডায় উৎপন্ন সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল ও সরিষা-ক্যানোলা তেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পাম অয়েল।
এনজে