ভোজ্যতেল আমদানি কমে যেতে পারে ভারতে। চলতি বছর দেশটিতে তেলবীজের মজুদ বাড়ায় নভেম্বরে আসন্ন ২০২৩-২৪ বিপণন বছরে ভোজ্যতেলের আমদানি নিম্নমুখী হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, দেশটিতে ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ ৬ শতাংশ কমে যেতে পারে।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক। মুম্বাইভিত্তিক উদ্ভিজ্জ তেলের ব্রোকারেজ ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান সানভিন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সন্দীপ বাজোরিয়া বলেছেন, ‘আশা করছি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৬৬ লাখ টনে। ২০২৩-২৪ বিপণন বছরে আমদানির পরিমাণ ১০ লাখ টন কমে যেতে পারে। আগামী মৌসুমে আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৫৬ লাখ টনে।’
ভারতে আমদানি হওয়া ভোজ্যতেলের সিংহভাগই মূলত পাম অয়েল। মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত উদ্ভিজ্জ তেলের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সন্দীপ বাজোরিয়া জানান, ২০২২-২৩ বিপণন বছরে এক কোটি টন পাম অয়েল আমদানি করেছে ভারত। আগামী বছর আমদানি কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৯৫ লাখ টনে।
সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে রয়টার্স জানিয়েছিল, দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে ভারতীয় পরিশোধনকারীরা জুলাই থেকেই পাম অয়েল মজুদ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ে দেশটি ১২ লাখ ৫ হাজার টন এবং আগস্টে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি করে। ২০২২ সালের আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ১৬ হাজার টন। সে হিসাবে চলতি বছর মাসটিতে আমদানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আর সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এসইএ) তথ্যমতে, আগস্টে ১৮ লাখ ৭০ হাজার টন উদ্ভিজ্জ তেল আমদানি করেছে দেশটি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় ও দেশীয় তেলবীজ উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় ভোজ্যতেল আমদানি বাড়িয়েছে ভারত।
ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পাম অয়েল আমদানি করে। আর সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।
সম্মেলনে বাজোরিয়া বলেন, ‘ভারতে ২০২২-২৩ সালে সয়াবিন আমদানির সম্ভাব্য পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৫ লাখ টনে। ভোজ্যতেলটির মজুদ বাড়ায় আগামী ২০২৩-২৪ মৌসুমে সয়াবিনের আমদানি কমে দাঁড়াতে পারে ৩২ লাখ টনে।
সূর্যমুখী তেলের আমদানিও আগামী বছর দুই লাখ টন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের ৩১ লাখ টন থেকে আগামী বছরের সম্ভাব্য আমদানি কমে দাঁড়াবে ২৯ লাখ টনে।
এনজে