মালয়েশিয়ায় নতুন করে তিনটি খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদনের তারিখ ঘোষণা করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামি ১০ অক্টোবর থেকে নাপিত, টেক্সটাইল ও জুয়েলার্স এই তিনটি সাব সেক্টরে বিদেশি শ্রমিকদের আবেদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবাকুমার। তিনি বলেন, এই তিনটি সাব-সেক্টরের জন্য সাড়ে ৭ হাজার কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আবেদন নেয়া হবে।
এর জন্য নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই দেশটির ভারতীয় ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনে নিবন্ধন করতে হবে। কোটা পূরণ হয়ে গেলে পরবর্তীতে আবেদনের জন্য আর কোন মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলেও জানান এই মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, কোটা পূরণে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। বিদ্যমান এসব কর্মীদের জন্য নিয়োগকর্তারা ১০ অক্টোবর থেকে অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী শিবাকুমার আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এই সেক্টরগুলোতে কর্মী নেয়া বন্ধ থাকার পর নিয়োগকর্তাদের দাবি পূরণের জন্য নতুন করে আবারও তিনটি সাব-সেক্টরের জন্য বিদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
তবে নিয়োগকর্তাদের মাথায় রাখতে হবে, জুয়েলার্স ও টেক্সটাইল শ্রমিকদের সাব-সেক্টরের জন্য তাদের (ফ্লোর এরিয়া ১ হাজার থেকে ৫ হাজার বর্গমিটারের বেশি থাকা লাগবে) এবং বিদেশি শ্রমিকদের যোগ্যতা মোট স্থানীয় শ্রমশক্তির ১৫ শতাংশ নিয়োগ দিতে পারবে।
এছাড়া নাপিত অথবা হেয়ারড্রেসার সাব-সেক্টরের জন্য ২০০ থেকে ৯৯৯ বর্গ মিটার জায়গায় যদি তিনটি আসন থাকে সেক্ষেত্রে (অনুমোদিত যোগ্যতা একজন স্থানীয় কর্মীর সাথে দুইজন বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারবেন।
তিনটি সাব-সেক্টরে শুধুমাত্র পুরাতন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে নতুন করে গড়ে উঠা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ প্রযোজ্য হবে না।
বাংলাদেশসহ ১৫টি সোর্স কান্ট্রি থেকে মূলত মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মীর জন্য কোটা অনুমোদন দেয়। তবে নাপিত, টেক্সটাইল ও জুয়েলার্স এই তিনটি সাব-সেক্টরের শ্রমিক ভারত থেকেই আসে বলে জানান তিনি। সাব-সেক্টর অপারেটরদের অবশ্যই সরকার স্বীকৃত মালয়েশিয়ান স্কিলস সার্টিফিকেট (এসকেএম) থাকতে হবে।
এসব খাতে মূলত স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়া কঠিন বলে মত দেন নিয়োগকর্তারা। বছরের পর বছর ধরে এই তিনটি খাতে শ্রমিকদের উচ্চ চাহিদা থাকায়, অবশেষে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত এলো।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর নাপিত, টেক্সটাইল ও জুয়েলার্স এই তিনটি সাব-সেক্টরে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে এই তিন খাতে পুনরায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
এএ