৩১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৩ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপককে (ডিজিএম) শোকজ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। আদেশে আগামী ১৫ অক্টোবর ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখা ১৬ মার্চ এ জারি মামলা করে। মামলায় বিবাদী পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় ২৭ জুন বাদীর পদক্ষেপের জন্য দিন ধার্য করা হয়। পরপর চারটি ধার্য তারিখে বাদী বিবাদীদেরর বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সময়ের আবেদন করেন। দুই নম্বর বিবাদী মো. আব্দুল আলীম চৌধুরী এবং তিন নম্বর বিবাদী তার স্ত্রী রওশন আরা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই আদালতে ১৫টির বেশি অর্থঋণ মামলা চলমান রয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, এই বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং তারা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দীর্ঘ বছর ধরে বিদেশে পলাতক রয়েছেন বলে বিভিন্ন মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে। বাদী অর্থাৎ ব্যাংকের নিকট পর্যাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি সহায়ক জামানত থাকা সত্ত্বেও সেগুলো আইনানুগভাবে বিক্রয়ের পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যাংক মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব করছে। এতে বিদেশে পলাতক অর্থ পাচারকারী ও ঋণ খেলাপিরা ঋণ পরিশোধের কোনো বাধ্যবাধকতা অনুভব করছেন না। ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার সুদ মওকুফের সুবিধা পাচ্ছে। এতে খেলাপিরা ঋণ পরিশোধে কোনো তাগিদ বা চাপ অনুভব করেন না।
অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ৯০ দিনের মধ্যে অর্থ জারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য আইনে নির্দেশনা রয়েছে। অথচ সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের বিরুদ্ধে তিন মাসেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমতাবস্থায় এ জারি মামলাটি ব্যাংকের পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যর্থতার জন্য কেন খারিজ করা হবে না সে বিষয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর তারিখে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখার ডিজিএমকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এএ