রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি মন্দাভাব কাটছে না। গত মাসেও রফতানি আগের মাসের তুলনায় ১০ শতাংশ কমেছে। এর মূল কারণ লজিস্টিকস-সংক্রান্ত জটিলতা এবং প্রধান রফতানি অবকাঠামোগুলোয় রুশ সেনাদের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। ইউসিএবি এগ্রিকালচারাল বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে দেশটি সব মিলিয়ে ২১ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানি করেছে। আগস্টে রফতানির পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ টন। ইউক্রেন গত মাসে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টন উদ্ভিজ্জ তেল রফতানি করেছে, আগের মাসের তুলনায় যা ১৩ শতাংশ কম। ওই সময় রফতানি করা হয়েছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার টন।
রুশ সামরিক অভিযানের প্রভাবে গত বছরের শুরু থেকেই ইউক্রেনে খাদ্যশস্য রফতানিতে ধস নামে। এতে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে জাতিসংঘ। ফলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কৃষ্ণ সাগরীয় খাদ্যশস্য চুক্তি সম্পন্ন হয়। কিন্তু এ বছর রাশিয়া চুক্তি থেকে সরে এলে আবারো রফতানি নিয়ে বিপাকে পড়ে ইউক্রেন।
ইউসিএবি জানায়, চলতি মাসে রফতানি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই অস্থায়ী সামুদ্রিক করিডোরের মাধ্যমে দেশটি কৃষিপণ্য রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে।
চলতি বছর ইউক্রেন ৭ কোটি ৯০ লাখ টন খাদ্যশস্য ও তেলবীজ উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রফতানিযোগ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে পাঁচ কোটি টনে।
এনজে