বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, গ্রীন বন্ড, ব্লু বন্ড, ইসলামিক সুক্কুক গ্রীন বন্ড বিভিন্ন গ্রীন বন্ডের মাধ্যমে আমরা ক্যাপিটাল রেইজ করা, ট্যাক্স বেনিফিট নেয়া এবং ব্যবসা বাণিজ্য সহজেই ক্যাপিটাল রেইজ করে এক্সপ্যানশন করার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। সেই কারণে অলরেডি কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ এই গ্রীন বন্ডের মাধ্যমে হয়ে গেছে এবং সামনে বাড়তে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি অনুষদে আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট ফর সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার ও শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান হাফিজ মুহাম্মদ হাসান।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বাংলাদেশের ব্রান্ডিং নিয়ে কাজ করছি। সেখানে আমরা বিভিন্ন দেশের বিজনেস এবং ইনভেস্টমেন্ট সামিট করেছি। আমরা সেসব জায়গায় দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক উৎসাহ। সর্বশেষ আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার দেড়শ কোটি লোক তাদের একটা বিপুল বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তাই আমাদের এখন ইনভেস্টর এবং ইনভেস্টমেন্টের দিকে খুব মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমরা দেশি- বিদেশি সবাইকেই উৎসাহিত করবো। বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি হবে, বিনিয়োগের মাধ্যমেই কর্মসংস্থান হবে, বিনিয়োগের মাধ্যমেই প্রোডাকশন হবে আর প্রোডাকশনের মাধ্যমে আমরা এক্সপোর্ট মার্কেট আরো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড করবো। এ সব যদি আমরা ঠিক সময়ে করতে পারি, দেশে যদি পলিটিক্যালি স্ট্যাবিলিটি থাকে তাহলে কিন্তু আমাদের উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হওয়া খালি একটু সময়ের ব্যাপার।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ কিন্তু সেই বাংলাদেশ আর নেই। ১০-১৫ বছর আগে যে বাংলাদেশ ছিল এই অল্প সময়ে যে একটা ম্যাজিক্যাল পরিবর্তন হয়েছে সেটার কারণেই আমাদের এখন সব রকম প্রয়োজন এবং দিক নির্দেশনা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্যারিস কনসোর্টিয়ামে আমাদের অর্থমন্ত্রীরা যেখানে সাহায্যের জন্য যেত সেখানে আমরা এখন বিজনেস পার্টনারশিপের জন্য যাচ্ছি। আমরা যাচ্ছি আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য কিভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাড়ানে যায় সে জন্য।
তিনি বলেন, করোনা আর যুদ্ধবিগ্রহ মাঝে মাঝে আমাদের স্লো করে দিয়েছে। এখন নির্বাচনের জন্য যা হয় সাধারণত একটু টেনশন থাকে। তারপরেও দেখতে পাচ্ছি একটা সুন্দর অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ। বিজনেস ফ্যাকাল্টির ছাত্রছাত্রীদের জন্য চাকরি, প্রমোটর হওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য করার একটা বিরাট সুযোগ আসছে।
এএ