রিজওয়ান-শাকিলের লড়াইয়ে ২৮৬ রানে থামল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক আপডেট: ২০২৩-১০-০৬ ১৯:২৮:২৪


বিশ্বকাপ মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। যার ফলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আনপ্রেডিক্টেবলরা। তবুও নির্ধারিত সময়ের আগেই ২৮৬ রানে অলআউট বাবর আজমের দল।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বোলিংয়ে এসে শুরুতেই পাক ব্যাটারদের চেপে ধরেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। যে কারণে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের আগেই পাকিস্তানের ৩টি উইকেট তুলে নেন ডাচ বোলাররা। ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন ফাখর জামান, অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম উল হক।

চতুর্থ ওভারেই পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ডাচ বোলার লোগান ফন বিক। দলীয় ১৫ রানের মাথায় তাকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বসেন ওপেনার ফখর জামান। এতে ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর বাবর আজম এবং ইমাম-উল হক মাত্র ১৯ রানের জুটি বাধেন। কিন্তু ১৮ বলে ৫ রান করে পল অ্যাকারম্যানের বলে সাকিব জুলফিকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর।

দলের সংগ্রহ ৩৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ইমাম-উল হকও। ১৯ বলে ১৫ রান করেন তিনি। পল ফন মিকেরেনের বলে আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম উল হক। ফলে দ্রুতই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান।

সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল জুটি। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজনে মিলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। এর মাঝে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন শাকিল। আর রিজওয়ান হাঁকান তার ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি।

অবশেষে দলীয় ১৫৮ রানে সৌদকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের বড় জুটি ভাঙেন ডাচ স্পিনার আরিয়ান দত্ত। এরপর রিজওয়ান নিজেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১৮২ রানে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে বাস ডি লিডে বোল্ড হন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

এরপর স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরের পথ ধরল ইফতেখারও। তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন বাস ডি লিড। এতে বড় সংগ্রহের যে পথে এগিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান, তা ভেস্তে দেন ডাচরা।

এরপর সপ্তম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান। তবে দলীয় ২৫২ রানের মাথায় পরপর দুই বলে শাদাব ও পেসার হাসান আলীকে বিদায় করেন বাস ডি লিড। শাদাব ৩৪ বলে ৩২ রান করেন।

এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৯ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদি ১৩ ও হারিস রউফ করেন ১৬ রান। এতে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।

এএ