বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বার্ষিক সম্মেলন- ২০২৩। শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় হোটেল সী-প্যালেসে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম এনায়েত উল্লাহ, পরিচালক নাজিয়াত আলম ও নিরপেক্ষ পরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলী। শুভানুধ্যায়ী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামছুল আলম।
এবারের বার্ষিক সম্মেলনে সারাদেশ থেকে কোম্পানির বাছাইকৃত প্রায় ১৩শ’ ব্যবসা সফল উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানরা অংশ নেন। সম্মেলনে মৃত্যুদাবি ও স্বাস্থ্য বীমা দাবির প্রায় ৮ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও যোগ্যতা অর্জনকারী উন্নয়ন কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোম্পানির চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় জেনিথ ইসলামী লাইফ দেশীয় বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ হবে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার এক দশকে দ্রুত গ্রাহক সেবা ও বীমা দাবি পরিশোধ করে ইতোমধ্যেই আমরা গ্রাহকের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ গ্রাহক আস্থা অর্জনে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অনলাইন প্রিমিয়াম পেমেন্ট সিস্টেম, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম আদায়, বাংলায় ওয়েবসাইট ও অ্যাপস তৈরী করে পলিসি সংক্রান্ত সকল তথ্য গ্রাহকের নিকট সহজবোধ্য করা, দ্রুত মৃত্যুদাবি পরিশোধ, নিয়মিত এসবি প্রদান, মেয়াদোত্তর দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন পরিকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই ১৯ কোটি টাকার অধিক বীমা দাবি পরিশোধ করেছি। চতুর্থ প্রজন্মের কোম্পানি হিসেবে এটি একটি মাইলফলক। আমরা এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সভাপতির বক্তব্যে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, গ্রাহকসেবা ত্বরান্বিত করতে আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পলিসি করার সাথে সাথেই ইস্যু করা হচ্ছে বীমা দলিল। আবার গ্রাহক স্বার্থে অনলাইন মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে বীমা দাবি।
জেনিথ ইসলামী লাইফের কোন প্রকার বীমা দাবি পেন্ডিং নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বীমা দাবি পেতে আমাদের গ্রাহকদের কোন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয় না। সময়ক্ষেপণও করতে হয় না। কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই আমাদের গ্রাহকদের বীমা দাবির টাকা যথাসময়ে তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়।
এস এম নুরুজ্জামান আরো বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক একটি জীবন বীমা কোম্পানি। আমরা নির্বাহী রশিদ ব্যতীত গ্রাহককে বীমা দাবি পরিশোধ করে থাকি। এখন পর্যন্ত কোম্পানির পরিশোধিত মোট বীমা দাবির পরিমাণ ১৯ কোটি টাকারও বেশি।
তিনি বলেন, ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে আমাদের আইটি কার্যক্রম। প্রদান করা হচ্ছে ই-রিসিপ্ট। স্থাপন করা হয়েছে কল সেন্টার। সহজে প্রিমিয়াম দেয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধার পাশাপাশি আমাদের রয়েছে ১৭টি ব্যাংকের সাথে অনলাইন একাউন্ট।
সানবিডি/এসকেএস