বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কী করছে তা জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে দুদক সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।
তবে আইএমএফকে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনি কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও অর্থপাচার তদন্তে দুদক সক্রিয়। তবে দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে অনেক দেশেরই সমর্থন না পাওয়ার কথা জানিয়ে, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা চায় দুদক।
আইএমফের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দুদকে যায় আইএমএফের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। এক ঘণ্টার বেশি সময় তারা বৈঠক করেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে। এসময় মানি লন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং গোয়েন্দা শাখার পরিচালক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে আইএমএফকে অবহিত করা হয়। আইএমএফের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুদক কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এসময় কর্মকর্তারা পাচার হওয়া সম্ভাব্য দেশগুলোতে আইনি সহায়তা পেতে চিঠি পাঠানোর কথা জানান। অর্থপাচার তদন্তে বৈশ্বিক তদন্তের বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়।
বৈঠক শেষে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দুদকের বর্তমান কাঠামো, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং বিদ্যমান আইন, বিধিবিধান মোতাবেক দুদক কীভাবে কাজ করছে, সেটার বিষয়ে আইএমএফ প্রতিনিধিরা একটা ধারণা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের ক্ষেত্রে দেশ-টু-দেশ সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে তারা গুরুত্বারোপ করেছেন যে, এটা আরও কীভাবে সম্প্রসারিত করা যায়।
দুদক সচিব আরও বলেন, বৈঠকে মানিলন্ডারিং বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর জন্য বিভিন্ন দেশের যে সেন্ট্রাল অথরিটি থাকে, সেটা প্রত্যেকটা দেশেই থাকে, বাংলাদেশেও আছে। তাদের মাধ্যমে দুদক এমএলএআর (মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্ট রিকোয়েস্ট) পাঠিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সেটা পেতে বিলম্ব হয়। এটা শুধু বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে না। যে দেশে টাকা পাচার হয়েছে সেদেশের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। কাজেই সার্বিক বিষয়গুলোয় কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সেটার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং যেটা হচ্ছে সেটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই হচ্ছে। ট্রান্স বর্ডার যে ক্রাইম বা মানি লন্ডারিং, এটা দমনে কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা করা যায় সেটার ওপর তারা গুরুত্ব দিয়েছেন।
এএ