চলমান বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ বসেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে। আহমেদাবাদে চলা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
ভারতের তিন তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, মোহম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়ার গতি এবং কুলদীপ যাদব ও রবিন্দ্র জাদেজার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৯১ রানেই অলআউট পাকিস্তান।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৪১ রান জমা করে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আব্দুল্লাহ শফিক। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১৩ রানের ইনিংস খেলা শফিক, ভারতের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ফেরেন ২৪ বলে মাত্র ২০ রানে।
এরপ অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ২৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকও। তিনি আউট হন ৩৮ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৬ রান করে।
দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৮৩ রানের জুটি গড়েন।
২৯.৩ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৫৫ রান। দলের যখন এমন অবস্থা, তখন পাকিস্তানি সমর্থকরা আশা করেছিলেন স্কোর আড়াইশ ছাড়িযে যেতে পারে।
কিন্তু এরপর বালির বাধেঁর মতো ভেঙে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৩৬ রানে ব্যবধানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২.৪ ওভারে ১৯১ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান।
দলের হয়ে অধিনায়ক বাবর আজম ক্যারিয়ারের ১১১তম ম্যাচে ২৯তম ফিফটির পর আউট হন। তিনি ৫৮ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। দলীয় ১৬৮ রানে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৬৯ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৯ রান করে আউট হন।
আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন সৌদ শাকিল, ইফতেখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান আলী ও হারিস রউফরা।
ভারতের হয়ে জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব ও রবিন্দ্র জাদেজা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এএ