গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে হুংকার ছাড়লেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন—বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মুসলিম ও প্রতিরোধ যোদ্ধারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে, যদি ইসরায়েল না থামে।
এ সময় ইহুদি বসতিতে অবস্থান করা ইসরায়েলি নাগরিকদের ‘সাধারণ মানুষ’ বলতে অপারগতা জানান খামেনি। দাবি করেন, তারা সবাই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। ইসরায়েলি বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যারা গাজা হামলায় ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের বিচারও দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত ও উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন খামেনি। গাজায় চলমান হামলা অবশ্যই থামাতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি।
১৯৭৯ সালে ইসলামিক পুনর্জাগরণ পর থেকেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয়, গাজা নিয়ন্ত্রণ করা হামাসের যোদ্ধাদের জন্য প্রকাশ্যেই আর্থিক ও সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে দেশটি।
হামাস ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কতগুলো অস্ত্রধারী সংগঠনের সঙ্গে ইরানের মিত্রতা রয়েছে। ওই বাহিনীগুলোকেই খামেনি প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইরান সমর্থিত এ ধরনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে লেবাননভিত্তিক গেরিলা সংগঠন হিজবুল্লাহ অন্যতম। হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে ইসরায়েলি বাহিনীর। বিষয়টি বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এএ