বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে এক আলোড়িত নাম ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। কর্মযজ্ঞ, মেধা আর নিজ যোগ্যতায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তৃনমূল রাজনীতির পথ বেয়ে তিনি এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সুপরিচিত নাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন আর বঙ্গবন্ধু তণয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের নিবেদিত কর্মীর নাম ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ।
স্যাটেলাইট চ্যানেলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার বিশ্বজয়ী নেতৃত্ব ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরাসহ জনমত গঠনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অনলবর্ষি বক্তা হিসাবে দেশ-বিদেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হিসেবে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ফলে আসন্ন সম্মেলনে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির স্নেহভাজন ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘণিষ্ঠজন হিসেবে তিনি তরুন প্রজন্মের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। সফল, জনপ্রিয়, মেধাবী সাবেক ছাত্রনেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ ১৯৮৪ সালে স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে পথচলা শুরু করেন। তারপর নবীনগর সরকারী কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচিত জি.এস (সাধারণ সম্পাদক), পরবর্তীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং লন্ডনে ব্যারিস্টারী পড়ার সময় যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
সুপ্রীম কোর্টের তরুন আইনজীবি হিসেবে আইন অঙ্গনে রয়েছে তার যথেষ্ট খ্যাতি। বিগত এক-এগারো সরকারের সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাড. সাহারা খাতুনের নেতৃত্বাধীন আইনজীবী প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় কোর্টে নিয়মিত উপস্থিত থেকে ও শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে বহু সভা-সমাবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সাংগঠনিক দক্ষতায় নিরলসভাবে কাজ করে তাঁর নির্বাচনী এলাকা বি-বাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সর্বস্তরের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতায় পরিনত হয়েছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদই হচ্ছেন নবীনগরের উন্নয়নে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার কান্ডারী।
বর্তমান প্রজন্মের মাঝে শিক্ষাদূত হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। কৈশোর কাল থেকেই শিক্ষার প্রতি তাঁর ছিল প্রবল আগ্রহ। যার ফলে লন্ডনে গিয়ে অর্জন করেছেন আইনের সবোর্চ্চ শিক্ষা ডিগ্রি। নিজে শিক্ষিত হয়েই থেমে থাকেন তিনি। প্রিয় জন্মস্থান নবীনগরের শিক্ষার উন্নয়নে সবর্দা কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা ধ্যুতি ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ শিক্ষা ফাউন্ডেশন’। দীর্ঘ ১ যুগেরও অধিক সময় ধরে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নবীনগরের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। আলোকিত নবীনগর গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠা করেছেন “লাউর ফতেহ্পুর ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ”। ইতোমধ্যে কলেজটি বেশ সুপরিচিতি লাভ করেছেন।
এলাকার গরীব-দু:খী মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ আর্তমানবতার সেবায় নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। এছাড়া তিনি নিজ এলাকার শতবর্ষি লাউর ফতেহ্পুর কেজি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও লাউর ফতেহ্পুর আরএনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটানা ৫ম মেয়াদে সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। পারিবারিক, ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে মানুষ ছুটে আসলে, তিনি আন্তরিকতার সহিত তাদের সমস্যা সমাধানের চেস্টা করেন।
২০০৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় নবীনগর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ, এছাড়া ১৯৯৮ সালের বন্য মোকাবেলায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, ঈদবন্ত্র, শীতবস্ত্র বিতরণ করেন নিয়মিত। ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ সাউথ নবীনগর স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ঢাকা ও নবীনগর উপজেলা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ-এর প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্বাধিক প্রচারিত অনলাইন দৈনিক ও বার্তা সংস্থা আইএনবি। তিনি বার্তা সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বি-বাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে গোটা জেলায় শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও সম্মিলিত তরুন পেশাজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রায়াত্ব রূপালী ব্যাংকের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং এর আগে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত পরিচালক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্ব আর কর্মযজ্ঞে উভয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভীষণ মুগ্ধ। ব্যাংকিং সেবা বিস্তার এবং জনসাধারণের দৌরগোঁড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চার কন্যা সন্তানের জনক। সহধর্মিনী মিসেস নাহরিন ফারহানা পপি গুলশান কমার্স কলেজ, গুলশান, ঢাকা-এর ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক। সম্প্রতি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে বর্তমান অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন গুণী এ কৃতিসন্তান ও সফল সংগঠক ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। আলোচনার শুরুতেই তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগ। আমাদের অর্থনীতি শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের যে সকল দেশের সাথে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রেমিটেন্স-এর সম্পর্ক বিদ্যমান সে সকল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দ্বারাও আমাদের অর্থনীতি প্রভাবিত হয়।
যে সকল দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে সেখানে যদি অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়, তা হলে এদেশের রপ্তানি পণ্যের পরিমান কমে যাবে, আবার যে সব দেশে থেকে আমরা পণ্য আমদানি করি সেই সব দেশে যদি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে তা হলেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। তবে আশার কথা, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও এ দেশের অর্থনৈতিক গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। এর একমাত্র কারণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সাহসিকতা। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব আর সাহসিকতার জন্যই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
গণতন্ত্র, শিক্ষা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, খাদ্যে-স্বংয়সম্পূর্ণতা, সড়ক-মহাসড়ক নিমান, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকার যে সফলতা দেখিয়েছে, স্বাধীনতার পর কোনো সরকার তা দেখাতে পারেনি। বরং বিএনপি জামায়াত সরকার খাদ্যে ঘাটতি আর দূর্নীতিতে বার বার বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করে জাতি হিসেবে আমাদের বিকারগ্রস্ত করেছিলেন। সাম্প্রতিক চোরাগোপ্তা হামলাকে দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তরুন প্রজন্মের এ রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, ৭১‘র স্বাধীনতা বিরোধীরা আজো বাংলাদেশকে মানতে পারেনি।
যখনই বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই উন্নয়ন কর্মকান্ড- ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত মরিয়া হয়ে উঠছে। জঙ্গিবাদের দোহায় দেয়া হলেও এগুলো বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্টি। বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাই অগণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় যাবার নেশায় দিশেহারা হয়ে এসব ঘটাচ্ছেন। কিন্তু সব ধরণের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন ইনাশাল্লাহ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গঠনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইটি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে দেশের তরুণ সমাজের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস