আগেকার দিনে নারীরা বিবাহিত না অবিবাহিত বোঝা যেতো নাকফুল দেখে। এখন সব নারীরাই ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে নিয়েছে নাকফুলকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আধুনিক তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীর নাকেই শোভা পায় নাকফুল। অনেকে তো প্রতিটি পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নাকফুল পরেন।
সামাজিক রীতিনীতি কিংবা ধর্মীয় বিধিনিষেধ নয়, নাকফুল এখন ফ্যাশনেরই একটি অংশ। কিশোরী থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীই পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল রেখে হরক রকম নাকফুল পরা পছন্দ করেন। আগে শুধু সোনা বা রূপার নাকফুল পরা হলেও বর্তমানে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে মেয়েরা হীরার ছোট্ট একটি পাথরের নাকফুল বেছে নিচ্ছেন।
নাকফুলের উপাদান হিসেবে সোনার পাশাপাশি রূপা ও সোনার প্রলেপ দেওয়া রূপা ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নানা রকমের সাদা পাথর, হীরা, মুক্তা, জিরকন, এমারেল্ড, গার্নেট ইত্যাদি। একরঙা পাথর, একাধিক পাথর অথবা নানা রঙের পাথর মিশিয়ে তৈরি নানা আকারের নাকফুল সংগ্রহে রাখা যেতে পারে।
নাকফুলের আকার এবং মেটালের ওপর নির্ভর করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়। যেমন শুধু সোনার নাকফুল ১৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। চাইলে রেডিমেট কিনে নিতে পারেন অথবা অর্ডার দিয়ে পছন্দের ডিজাইনের নাকফুলটাও বানিয়েও নিতে পারেন। এখানে হীরার নাকফুল ২০০০ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
যাদের নাক ছোট আর খুব বেশি খাড়া নয়, তারা ছোট্ট এক পাথরের নাকফুল পরলে ভালো দেখাবে। আর যাদের নাক বড়, চোখা তাদের নাকে বড় নাকফুল বেশ মানিয়ে যায়। তবে চাইলে ছোট নাকফুলও পরতে পারেন। সব সময় পরতে চাইলে ছোট এক পাথরের নাকফুল ব্যবহার করতে পারেন। আর কোনো উৎসবে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বড় নাকফুল পরতে পারেন। শাড়ি, কামিজ, ফতুয়া এমনকি টি-শার্টের সঙ্গেও নাকফুল পরতে পারেন। নাকফুল নারী সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেয়।
অনেকেই ব্যথার ভয়ে নাক ফোঁড়াতে চান না, তারাও ইচ্ছা করলে টিপ নাকফুল পরতে পারেন। সেক্ষেত্রে দামি নাকফুল পরলে সচেতন থাকতে হবে যেন হারিয়ে না যায়। এছাড়াও আড়ং, দেশিদশের মতো ফ্যাশন হাউসগুলোতেও রয়েছে নাকফুলের বিশাল সংগ্রহ। বেছে নিন পছন্দের নাকফুল। ছোট একটি নাকফুল রাতের অন্ধকারেও চকচক করে আপনার স্বগর্ব উপস্থিতির জানান দেবে।