চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ভিয়েতনাম ১৮৯ কোটি ডলারের রাবার রফতানি করেছে। এ সময় মোট ১৪ লাখ ২০ হাজার টন রাবার রফতানি থেকে এ আয় করেছে দেশটি। তবে রফতানির পরিমাণ বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। খবর ভিয়েতনাম প্লাস।
ভিয়েতনামিজ রাবারের শীর্ষ ক্রেতা চীন। দেশটির মোট রফতানির ৯৯ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল চীন। ভিয়েতনাম প্রাকৃতিক ও সিনথেটিক উভয় ধরনের রাবার রফতানি করে থাকে। কভিড-১৯ মহামারীকালে সংকট কেটে যাওয়া সত্ত্বেও দেশটির রাবার শিল্প বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে ভিয়েতনামিজ রাবার। ভিয়েতনাম রাবার অ্যাসোসিয়েশনের (ভিআরএ) মতে, প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন ও রফতানিকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে দাম, পণ্যের গুণমান, বাণিজ্যিক খ্যাতি ও বাজারের ক্রেতাদের পছন্দসই পণ্য সরবরাহ করার সক্ষমতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
রাবার অ্যাসোসিয়েশন বলছে, আগামীতে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা ক্রমাগত বাড়বে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতিকে সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছে ভিআরএ। সংগঠনটি বলছে, ভিয়েতনামের জন্য প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন ও রফতানি করে রাজস্ব আয়সহ গ্রামীণ এলাকায় এ শিল্পে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।
এনজে