অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। এ জন্য পূর্ব সতর্কতা হিসেবে নিজ নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভ্রমণ সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিরল। কারণ এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির হত্যার পর এ ধরনের নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
সবশেষ বৃহস্পতিবার নোটিশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা, মার্কিন নাগরিক এবং স্বার্থের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, বিক্ষোভ বা সহিংস কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের জন্য এই বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর আগে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এ ঘটনার পর সবশেষ ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে দেশটিতে সফর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমাবর্ষণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অন্তত এক হাজার ৫২৪ জন শিশু, এক হাজারের বেশি নারী রয়েছেন। এছাড়া ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার হাজার ৪০০ জনেরও বেশি।
এদিকে, ১৭ অক্টোবর রাতে গাজার ‘আল-আহলি’ হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু মানুষ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, হাসপাতালটিতে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।
এনজে