বিএনপির মহাসমাবেশের আগের দিন ঢাকা মহানগর ও জেলা থেকে গ্রেফতার বিএনপির ২২৭ জন নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকার ৫০টি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ২০৫ জন। এছাড়াও ঢাকা জেলাধীন ছয়টি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার ২২ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মধ্যে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকার অভিযান চালিয়ে এসব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিভিন্ন মামলায় সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

বিএনপির এই কর্মসূচি সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ১২৯ জনকে আদালতে পাঠিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে দুই দিনে ৩৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলো।

ঢাকার আদালতে বিভিন্ন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওয়ারী থানা এলাকা থেকে ২২, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে ১৭, কাফরুল থেকে ১৫, পল্লবী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার ১৯ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয় আজ।

এ ছাড়া গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে ৩ জন, সূত্রাপুর থানার ৬, ক্যান্টনমেন্ট থানার ১, খিলক্ষেত থানার ৩, নিউমার্কেট থানার ৪, কলাবাগান থানার ১, রামপুরা থানার ৩, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ১, হাতিরঝিল থানার ১, তেজগাঁও থানার ৩, আদাবর থানার ৫, মোহাম্মদপুর থানার ৩, রমনা থানার ৩, শাহবাগ থানার ২, কাফরুল থানার ১৫, মতিঝিল থানার ৩, শাহজাহানপুর থানার ১, গুলশান থানার ১, বাড্ডা থানার ৬, বংশাল থানার ৬, কোতোয়ালি থানার ২, চকবাজার থানার ৬, কামরাঙ্গীরচর থানার ১০, লালবাগ থানার ৪, কদমতলী থানার ১৮, শ্যামপুর থানার ২, হাজারীবাগ থানার ৬, উত্তরখান থানার ৫, ডেমরা থানার ৪, খিলগাঁও থানার ৮, মুগদা থানার ২, দারুসসালাম থানার ১০ ও শাহ আলী থানা এলাকায় গ্রেপ্তার ৬ জনকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা মহানগর ছাড়াও ঢাকা জেলাধীন কয়েকটি থানা থেকে গ্রেফতার ২২ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের ভেতর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ৯ জন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ৬ ও সাভার থানার ৭ জন রয়েছেন।

এএ