দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে বেড়েছে ১৮ টাকা। ভারতের বাজারে বাড়তি দামের কারণে দেশের বাজারে দাম বেড়েছে বলে দাবি আমদানিকারকদের। তবে পাইকারদের অভিযোগ, পূজার ছুটি শেষে বন্দর দিয়ে ফের আমদানি চালু হয়েছে। এতে দাম স্থিতিশীল থাকার কথা থাকলেও বেড়েছে। বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে বর্তমানে ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পূজার ছুটি শুরুর আগে এ জাতের পেঁয়াজ ৬০-৬১ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পূজার ছুটি শুরুর আগে এ জাতের পেঁয়াজ ৬৬-৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বলেন, ‘ছয়দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এর পরও দাম খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী। ভারতের যেসব অঞ্চলে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, সেসব অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে দেখা দিয়েছে সরবরাহ ঘাটতি। ফলে ভারতের মোকামগুলোতেই দাম খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী। পূজার ছুটির আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রুপিতে কিনলেও বর্তমানে তা ৪৫-৫০ রুপিতে কিনতে হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজিতে ব্যয় হচ্ছে ৭৫ টাকার বেশি।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ছুটি শুরুর আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। বৃহস্পতিবার মাত্র ২০ ট্রাক আমদানি হয়েছে।
এনজে