এশিয়ার চালের বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য ফের কমেছে। রফতানি নীতিমালায় পরিবর্তন আসায় এ নিয়ে টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো নিম্নমুখী পণ্যটির বাজারদর। থাই চালের দামও কমেছে। তবে ভিয়েতনামে খাদ্যপণ্যটির রফতানি মূল্যে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভারত চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৪৯৫-৫০৫ ডলারে রফতানি করছে। গত সপ্তাহে রফতানি মূল্য ছিল টনপ্রতি ৫১০-৫২০ ডলার। এর আগে টানা তিন সপ্তাহ নিম্নমুখী ছিল দাম।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক। অভ্যন্তরীণ মজুদ ধরে রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে সেদ্ধ চাল রফতানির ওপর ২৫ আগস্ট ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার, ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত যা কার্যকর থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ নীতি আগামী বছরের ২৪ মার্চ পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আমদানিকারক দেশগুলোয় আকর্ষণ হারাচ্ছে ভারতীয় এ চাল। এ কারণেই রফতানি মূল্যে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে শুল্কজনিত চাহিদা হ্রাসের পাশাপাশি নতুন মৌসুমের সরবরাহও দাম কমাতে সাহায্য করছে। নয়াদিল্লিভিত্তিক রফতানিকারকরা জানান, বাজারে নতুন মৌসুমের চাল উঠতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় রফতানিকারকরা প্রতিযোগিতামূলক দাম বহাল রাখার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসমতী চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য কমাতে যাচ্ছে ভারত। বেশি দামের কারণে বিদেশী ক্রেতারা দেশটি থেকে আমদানি কমিয়ে দেয়। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে ন্যূনতম রফতানি মূল্য কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল রফতানিকারক সংগঠনগুলো।
এনজে