নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গানের জেরা শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এরপর রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য লয়েড শোয়েপের পুনরায় সাক্ষী নেওয়ার জন্য আবেদন করেন দুদক। এ বিষয়ে শুনানি ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান ৩০ অক্টোবর তাদের আদালতে এসে তাদের সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে অনুমতি দেন আদালত। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইসরি স্পেশাল এজেন্ট ডেবরা লাপরিবট্ট গ্রিফিথ, কানাডা অ্যান্ড রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান (প্রয়াত), ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এম জি