প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প, বুধবার (১ নভেম্বর) যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন । বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন তারা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রকল্পগুলো ভারতের সহায়তার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংযোগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে।
প্রকল্প তিনটি হলো; আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্প ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে। রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেল লাইন এবং ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার রেল লাইন।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্প ভারত সরকারের রেয়াতি লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায়, ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, মোংলা বন্দর ও খুলনার বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৬০ কোটি ডলারের ভারতীয় ঋণ সহায়তার আওতায়, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। এটি, ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে ৫০ শতাংশের সমান হারে প্রতিষ্ঠিত জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই দেশর প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।
এনজে